২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • আর্ন্তজাতিক
  • এবার গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের
  • এবার গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

    মুক্তি কন্ঠ

    মুক্তিকন্ঠ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

    জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এবার যুক্তরাষ্ট্র নিজেই গাজা উপত্যকায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছেন। যারা ইতোপূর্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দিয়ে আসছিল। এই খসড়া প্রস্তাবে জিম্মি মুক্তির বিষয়টিও রয়েছে বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    তিনি বলেন, আমরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছি। যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতিসহ জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। আশা করছি অন্যান্য দেশ আমাদের এ প্রস্তাবকে সমর্থন করবে।

    ইসরায়েলের অন্যতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির জন্য এর আগে তিনবার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এতে তিনবারই প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিলেন তারা।

    সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সে সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর আটক জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসকেও চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

    যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত বুধবার সৌদি সংবাদমাধ্যম আল হাদাথকে বলেন, আমি মনে করি এই প্রস্তাব একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে।

    তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ইসরায়েলের পাশে আছি। তাদের আত্মরক্ষার প্রতি আমাদের সম্মান আছে। গাজায় যে সব বেসামরিক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এবং চরম দুর্দশায় আছেন তাদের প্রতিও আমাদের নজর দিতে হবে। তাদের সুরক্ষার বিষয়টা আমাদের প্রাধান্য দিতে হবে। তারা যেন মানবিক সহায়তা পেতে ‍পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

    গত বুধবার (২০ মার্চ) সংশোধিত খসড়াটি জাতিসংঘে জমা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে বলা হয়েছে, সব পক্ষের বেসামরিক লোকদের সুরক্ষিত রাখতে। অত্যাবশ্যকীয় মানবিক ত্রাণের সরবরাহ ও দুর্দশা দূর করার জন্য জিম্মিদের মুক্তি সাপেক্ষে তাৎক্ষণিক ও টেকসই ‍যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

    তবে এই খসড়া প্রস্তাবে ভোট গ্রহণ কখন হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

    মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফাহাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তাদের মধ্যে ইসরায়েল এবং গাজা যুদ্ধ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

    সূত্র : কালবেলা